ওয়েব ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করে ‘দলছুটদে’র দিয়ে সরকার নতুন দল বানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনো অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ভাগিয়ে নেয় না। এই কাজটা করে গ্রাম্য মোড়ল, গ্রাম্য টাউট ও বাজে লোকেরা। তারা অন্য মানুষের বাড়ি থেকে লোক ভাগিয়ে নেয়। সেই কাজ এখন করছেন শেখ হাসিনা। দলের মধ্যে নানাভাবে সুবিধাবাদীরা ঢুকে পড়ে, উচ্ছিষ্টভোগীরা ঢুকে পড়ে। সে লোকগুলোকেই তারা পাচ্ছে। এরশাদের সময় আমরা দেখেছি, এসব লোকদের নিয়ে দল গঠন করেন তিনি, সরকার গঠন করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, একজন একজনকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে, একেকটা অদ্ভুত নাম দিয়ে নতুন দলে নিয়ে যাচ্ছে। নমিনেশনে তাদের জেতানো হবে বলে অথবা টাকা-পয়সার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একদিকে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণকে দমন করার জন্য নিষ্ঠুর পদক্ষেপ, অন্যদিকে চলছে রাষ্ট্রীয় টাকা লোপাট করে দলছুটদের নিয়ে দল বানানোর কারসাজি।
সারাদেশে র্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র কেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, গণমাধ্যম থেকে জেনেছি যে, ৪২৮টি র্যাবের জন্য কেন্দ্র বানানো হচ্ছে। এদের কাজ কী? আসলে সামনে একতরফা নির্বাচনের যে মাস্টার প্ল্যান, সেই প্ল্যানকে বাস্তবায়ন করার জন্য নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। সে কারণেই আজকে র্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র করা হয়েছে।
বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুর গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন অভিজ্ঞ সিনিয়র চিকিৎসক তিনি। আজকে সকালে পেশাজীবীদের এক অনুষ্ঠান শেষে ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেফতার করে র্যাব। তাকে গ্রেফতারের যে দৃশ্য এটাই হচ্ছে বিস্ময়কর।
রিজভী আরও বলেন, একজন সিনিয়র চিকিৎসককে গ্রেফতারের পর দুই র্যাব সদস্য দুই পাশে। আমার প্রশ্ন হলো তিনি একজন চিকিৎসক, আপনি তাকে গ্রেফতারের পর সন্মানের সঙ্গে র্যাব কার্যালয়ে বসিয়ে রাখতে পারতেন। তার ছবি তুলেছেন এমনভাবে, মনে হয় যেন তিনি দুর্ধর্ষ কোনো সন্ত্রাসী না কোনো চোর-ডাকাত। কি করে সম্মানিত মানুষের সম্মান হরণ করছে এই সরকার। আমরা গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।